POSTED ON June 07, 2022 by Arup Ratan Paul আমাদের প্রতিদিনকার জীবন এখন ইন্টারনেট ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। এই ইন্টারনেটের বিকাশ এবং এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য আদান প্রদানের প্রক্রিয়ার শুরুটা কেমন ছিলো? আজ এমন একজন উদ্ভাবক ও তাঁর উদ্ভাবনের শুরুর সময়ের গল্প জানবো যিনি ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’ নিয়ে এসেছিলেন আমাদের কাছে!
জি, হ্যাঁ। বলছিলাম স্যার টিম বার্নার্স লি এর কথা। এই ব্রিটিশ কম্পিউটার বিজ্ঞানী সুপরিচিত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনক হিসেবে।
সময়টা ১৯৮৯ সাল। সে সময় তিনি CERN-এ কর্মরত ছিলেন। এটি ছিল সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত কণা পরীক্ষাগার। তিনি তার বসের কাছে একটি নতুন আইডিয়া তুলে ধরেন। সেই সময় তার বস মাইক সেন্ডাল দাবি করেছিলেন যে আইডিয়াটি অস্পষ্ট কিন্তু আকর্ষণীয়। উল্লেখ্য আইডিয়াটি নিয়ে কাজ করার সময় অর্থাৎ কোড লেখার কাজে স্যার লি CERN-এ তার সহকর্মীদের সহায়তা নিয়েছিলেন এবং তা ভালো কাজ করেছিল। শেষ পর্যন্ত, তিনি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের এই মিশনটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হন।

Source- CNN
বসের কথায় তিনি বিরক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। সমস্যা ছিলো যে বিভিন্ন তথ্য অ্যাক্সেসের জন্য বিভিন্ন কম্পিউটার থেকে তখন লগ ইন এবং আউট করতে হতো। ফলে কাজে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিতো। তথ্য ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার নিয়ে বিস্তর গবেষণা করতে থাকেন এর পর থেকেই।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উদ্ভাবনের আগে প্রথম ইমেলটিও তিনি পাঠিয়েছিলেন। উল্লেখ্য এটি উদ্ভাবনের পরে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়টি আরও উন্নত হয়। ব্রাউজার এবং সার্ভার ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পরে, প্রথম ওয়েবসাইটটি চালু করা হয়েছিল। সময়টা ছিলো ৬ই আগস্ট, ১৯৯১, টিম বার্নার্স-লি এবং তার দল http://info.cern.ch ওয়েবসাইট চালু করেন।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের বিকাশ এবং সূচনা হওয়ার পরে, অন্যান্য CERN গবেষকদের মতোই টিম বার্নার্স-লি এর ব্যবহার সীমিত করেছিলেন। অবশ্য পরে, তিনি সংস্থাটিকে প্রস্তাব করেন যেন বাকি জনসাধারণের অ্যাক্সেসের অনুমতি দেওয়া হয়। সংস্থাটি তাকে সমর্থন করে এবং ১৯৯৩ সালে, তারা জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে ওয়েবে অ্যাক্সেসের অনুমতি দেয়। সেই থেকে শুরু। তারপর প্রযুক্তির বিকাশ, রূপান্তর ও বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব আজকের এই অবস্থায় পৌঁছেছে।
মাইকেল ডেল সম্পর্কে জানতে পড়ুন আমাদের এই ব্লগ
No Comments
Leave a comment